Skip to main content

লোকাল বিজনেসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাজিক

লোকাল বিজনেসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাজিক…

লোকাল বিজনেসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাজিক………..

আপনার লোকাল বিজনেস মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে কোথায় সময় দিতে হবে সেই সিদ্ধান্তটি কিভাবে নেবেন ?
সামাজিক নেটওয়ার্ক ও মার্কেটিং এর ক্ষেত্রগুলো অত্যন্ত সুবিস্তৃত। আপনি কিভাবে নিশ্চিত হবেন যে, আপনি সঠিক পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন যাতে আপনি আপনার লোকাল বিজনেসে সবোর্চ্চ বিনিয়োগ লাভ করতে পারেন।
আপনার লোকাল বিজনেসের জন্য কিছু শক্তিশালী সোশ্যাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা আপনার ব্র্যান্ডের সাথে মানানসই এমন বিষয়টি নির্বাচন করুন। তবে সবগুলো পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার জন্য কি করতে পারে সেই বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করুন।
  • গুগল প্লাস

গুগল প্লাস
  • বিজনেস পেইজ পেতে
  • বিজনেসের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীন বিষয়ক ছবি সংযুক্তকরণ
  • ক্লাইন্টসদের নিকট হতে রিভিউ গ্রহন
  • লোকেশন, আওয়ার সংযুক্তকরণ
  • ম্যাপ এবং দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুককরণ
  • আশেপাশের টেলিফোন নাম্বার এবং কোড সংযুক্তকরণ
  • লোকাল হ্যাশটেগের ব্যবহার
১। বিজনেস পেইজ পেতেঃ
লোকাল ব্যবসার জন্য গুগল প্লাসের মাধ্যমে আপনি একটি সার্চ ইঞ্জিন পেতে পারেন। গুগল প্লাস ছয় সপ্তাহ সময় নেবে আপনার ঠিকানা যাচাই করতে।
২। বিজনেসের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীন বিষয়ক ছবি সংযুক্তকরণঃ
এর মাধ্যমে আপনি ব্যবসায়িক বিষয়ের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীন ছবি সংযুক্ত করতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠানটির বাহ্যিক রূপ কেমন তার ছবি সংযুক্ত করুন। এর মাধ্যমে আপনার প্রোফেশনাল ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। একইভাবে অভ্যন্তরীন বিভিন্ন বিষয় যেমন আপনার পন্য, তালিকা এবং আপনার ব্যবসার অভিনবতা- এগুলোর ছবি সংযুক্ত করুন।
৩। ক্লাইন্টসদের নিকট হতে রিভিউ গ্রহনঃ
ক্লাইন্টসদের রিভিউ গ্রহন করুন। এতে কাস্টমারদের নিকট আপনার গ্রহনযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। নেগেটিভ রিভিউ  নিয়ে ভাববেন না। স্টাডিতে দেখা যায়, নেগেটিভ রিভিউর ফলে রিভিউয়ের সত্যতা বৃদ্ধি পায়। শুধু খেয়াল রাখবেন যেন নেগেটিভ রিভিউ পজেটিভ রিভিউয়ের চেয়ে বেশী না হয়ে যায়।
৪। লোকেশন আওয়ার সংযুক্তকরণঃ
আপনার লোকেশন আওয়ার সংযুক্ত করুন। এর ফলে কাস্টমাররা বুঝবে আপনি ঠিক সেই সময়ে ওপেন রয়েছেন কিনা। এটি আপনার কর্মচারীদের ও এই বিষয়ক ফোনকলের ঝামেলা কমাবে।
৫। ম্যাপ এবং দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুককরণঃ
গুগল প্লাস আপনার এলাকার ম্যাপ সরবরাহ করবে। এর ফলে ভিজিটরদের খুঁজে বের করতে সহজ হবে এবং আপনার ফোনকল কমাবে।
৬। আশেপাশের টেলিফোন নাম্বার এবং কোড সংযুক্তকরণঃ
গুগল প্লাস আপনার লোকাল কোড নাম্বার এবং টেলিফোন নাম্বার সংযুক্ত করবে, এর ফলে ক্লাইন্টসদের আপনার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা সহজ হবে।
৭। লোকাল হ্যাশটেগের ব্যবহারঃ
গুগল প্লাসের মাধ্যমে অনেক ওয়েবসাইট খোঁজা হয়। তাই স্থানীয় হ্যাশটেগ ব্যবহার করলে খুঁজে পাওয়া আরও সহজ হবে।
  • ইউটিউব  

ইউটিউব
  •  সূচনা ভিডিও তৈরি
  •  ভিডিও টাইটেলে সিটির নাম, বিজনেসের ধরণ এবং নাম দেওয়া
  •  ভিডিও ডেসক্রিপশনের প্রথমেই ওয়েবসাইট হাইপারলিংক দেওয়া
  •  ভিডিও ডেসক্রিপশনে সিটি এবং জিআইপি কোড দেওয়া
  •  ভিডিও সংক্ষিপ্ত রাখা(৩ মিনিটের কম)
  •  অফিস সম্পর্কে ভিজিটরদের ধারণা দেওয়া
  •  ভিউয়ারসদের অফিস ভিজিটে আমন্ত্রণ জানানো
  •  ভিডিও সম্পর্কে নিজস্ব বিশ্লেষণ তৈরি করা
৮। সূচনা ভিডিও তৈরিঃ
ইউটিউব বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন। ইউটিউব ভিডিওয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেসের পরিচয় তুলে ধরতে পারেন। আপনার বিজনেসের সূচনা সম্পর্কিত একটি ভিডিও তৈরি করুন যেমন আপনি কি করছেন, লোকেসন এই বিষয় গুলো অন্তর্ভুক্ত করুন।
৯। ভিডিও টাইটেলে সিটির নাম, বিজনেসের ধরণ এবং নাম দেওয়াঃ
ভিডিও টাইটেলে আপনার সিটির নাম, লোকেসন, বিজনেসের নাম এবং ধরণ ইত্যাদি বিষয় গুলো অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে আপনার প্রতিষ্ঠানের ভিডিও খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
১০। ভিডিও ডেসক্রিপশনের প্রথমেই ওয়েবসাইট হাইপারলিংক দেওয়াঃ
আপনি কি চান ভিউয়ারস রা আপনার ভিডিও দেখার পর আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করুক? তাহলে ভিডিওয়ের বর্ণনার শুরুতেই ওয়েবসাইট হাইপারলিংক দিন। খেয়াল রাখুন  যেন ফুল ডেসক্রিপশন ক্লিক না করলেও এটি দেখা যায়। আপনার ফোন নাম্বার ও দিতে পারেন ভিডিও ডেসক্রিপশনের  শুরুতে।
১১। ট্যাগ হিসেবে সিটি এবং জিপ কোড দেওয়াঃ
আপনার ভিডিওয়ের অতিরিক্ত বর্ণনার জন্য ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে ইউটিউব সার্চ করা ভিডিওয়ের মধ্যে প্রাসঙ্গিক ভিডিও নির্ধারন করে থাকে। আপনার সিটির নাম এবং জিআইপি কোড ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে আপনার এরিয়ার ভিডিও সার্চ করা হলে আপনার ভিডিওটি পাওয়া যাবে সেখানে।
১২। ভিডিও সংক্ষিপ্ত রাখা(৩ মিনিটের কম)
আপনার ভিডিও সংক্ষিপ্ত রাখুন, তিন মিনিটের কম। এক্ষেত্রে টেলিভিশন বিজ্ঞাপন গুলো খেয়াল করুন তারা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে তারা কোন কোন বিষয় গুলো অন্তর্ভুক্ত করছে।
১৩। অফিস সম্পর্কে ভিজিটরদের ধারণা দেওয়াঃ
আপনার অফিসের ইন্টেরিওর ডিজাইন সম্পর্কে ভিজিটরদের ধারণা দিন। আপনার ব্র্যান্ড কোন কোন দিক হতে আপনার এরিয়ার অন্যান্য ব্র্যান্ড হতে ভিন্ন সেই বিষয় গুলো তুলে ধরুন।
১৪। ভিউয়ারসদের অফিস ভিজিটে আমন্ত্রণ জানানোঃ
ভিউয়ারসদের অফিস ভিজিটে আমন্ত্রণ জানাতে ভুলবেন না। সেই সাথে তাদের বিশেষ কিছু অফার দিন।
১৫। ভিডিও সম্পর্কে নিজস্ব বিশ্লেষণ তৈরি করাঃ
আপনার ভিডিওটি কতবার দেখা হয়েছে, কত সময়ের জন্য হয়েছে, কিভাবে পেয়েছে ইউটিউব এই বিষয়ে বিশ্লেষণ করে থাকে। বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার কোন ভিডিওটি সবচেয়ে জনপ্রিয় আর কোনটি জনপ্রিয় নয়।
  • ফেসবুক 

ফেসবুক
  •  পেইজ ক্যাটাগরি = লোকাল বিজনেস
  •  লোকাল বিজনেস পেজে ম্যাপের সংযুক্তকরণ
  • লোকাল পেজে রিভিওয়ের সংযুক্তকরণ
  •  অফিস খোলা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানানো
  •  পোস্টে লোকাল হ্যাশটেগ ব্যবহার
  •  কাস্টমারদের পোস্ট ট্যাগ করতে প্ররোচিত করা
  •  কাস্টমারদের চেক ইন দিতে অনুপ্রাণিত করা
১৬। পেইজ ক্যাটাগরি = লোকাল বিজনেসঃ
আপনার লোকাল বিজনেসের ফেসবুক পেইজ আপনার লোকেসন, ম্যাপ, কাজের সময়, রিভিউ ইত্যাদি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করবে। এর ফলে ফেসবুক এর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে সহজেই জানা যাবে।
১৭। লোকাল বিজনেস পেজে ম্যাপের সংযুক্তকরণঃ
আপনি বিজনেস পেইজে লোকেশন অন্তর্ভুক্ত করলে ফেসবুক আপনার লোকেসনের ম্যাপ ডিসপ্লে করবে। এর ফলে ম্যাপ অনুযায়ী সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে।
১৮। লোকাল পেজে রিভিউয়ের সংযুক্তকরণঃ
কাস্টমারদের রিভিওয়ের মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। নেগেটিভ রিভিও আসতে পারে। তবে এই ব্যাপারে দুশ্চিন্তা করবেন না। স্টাডি হতে জানা যায় নেগেটিভ রিভিউ এর ফলে প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
১৯। অফিস খোলা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানানোঃ
ফেসবুক আপনার অফিসের সময় জানিয়ে দিবে। বন্ধ থাকলে সেটিও জানিয়ে দিবে। ফলে স্টাফরা এই বিষয়ক তথ্যের জন্য ফোনকল হতে বাঁচবে।
২০। পোস্টে লোকাল হ্যাশটেগ ব্যবহারঃ
আপনি যত বেশী হ্যাশটেগ ব্যবহার করবেন তত বেশী আপনা্র বিজনেস ফেসবুকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার লোকাল কমিউনিটির সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করতে সক্ষম হবেন।
২১। কাস্টমারদের পোস্ট ট্যাগ করতে অনুপ্রাণিত করাঃ
কাস্টরমারদের আপনার বিজনেস পেইজটি ম্যানশন করতে অনুপ্রাণিত করুন। আপনার পেইজটি কোন পোস্ট বা ছবিতে ম্যানশন বা ট্যাগ করা হলে সেটি আপনার নিউজ ফিডে দেখাবে।এর ফলে আপনার ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে।
২২। কাস্টমারদের চেক ইন দিতে অনুপ্রাণিত করাঃ
যখন কাস্টমার আপনার লোকেসন ভিজিট করবে এবং চেক ইন দিবে তখন এটি তাদের নিউজফিডে ও দেখাবে। এতে আপনার ব্র্যান্ডের ফ্রি পাবলিসিটি হবে। তাই কাস্টমারদের জন্য এমন সুবিধা  তৈরি করুন যাতে তারা চেক-ইন দেয়।
  • স্লাইড শেয়ার 

স্লাইড শেয়ার
  •  প্রেজেন্টেশন টাইটেলে সিটি, বিজনেসের ধরণ এবং নাম অন্তর্ভুক্তকরণ
  •  স্লাইড টেক্সটে SEO কিওয়ার্ড ব্যবহার
  •  SEO এর জন্য স্লাইড টেক্সট ট্রান্সক্রাইব
  •  একটি স্লাইডে ছবি সহ লোকেসন দেওয়া
  •  আপনার বিজনেসটিকে ভিন্ন করুন
  •  বিভিন্ন ধরণের ছবি ব্যবহার করুন
  •  স্বল্প সংখ্যক লোকাল বিজনেস স্লাইড ব্যবহার করে থাকে
২৩। প্রেজেন্টেশন টাইটেলে সিটি, বিজনেসের ধরণ এবং নাম অন্তর্ভুক্তকরণঃ
ইউটিউবের ০৯ নং পয়েন্টের মতই স্লাইড শেয়ারে আপনার সিটির নাম, বিজনেসের নাম এবং ধরণ উল্লেখ করবেন। এর মাধ্যমে সহজেই গুগল সার্চের মাধ্যমে আপনার বিজনেস স্লাইড শেয়ারটি পাওয়া যাবে।
২৪। স্লাইড টেক্সটে SEO কিওয়ার্ড ব্যবহারঃ
SEO কিওয়ার্ড সে সকল সার্চ টার্ম যা গুগলে ব্যবহার হয়, যেই বিষয়গুলো খোঁজা হয় সেগুলো খুঁজে পেতে আপনার প্রেজেন্টেশনে SEO কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে আপনার বিজনেস স্লাইড শেয়ারটি গুগলে প্রতীয়মান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
২৫। SEO এর জন্য স্লাইড টেক্সট ট্রান্সক্রাইবঃ
আপনার স্লাইডে শব্দের ভারসাম্যপূর্ণতা বজায় রাখবেন। অনেক বেশী শব্দ ব্যবহার করবেন না। এটি আপনাকে সার্চ র‍্যঙ্কিং কে এগিয়ে রাখবে।
২৬ । একটি স্লাইডে ছবি সহ লোকেসন দেওয়াঃ
আপনাকে কিভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে একটি স্লাইড যোগ করুন। যেখানে আপনার ঠিকানা, আশেপাশের ল্যান্ডমার্ক, আপনার বিল্ডিং এর একটা সুন্দর ছবি দেবেন।
২৭। আপনার বিজনেসটিকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করুনঃ
বর্তমানে শহরের সকল জায়গায় বিভিন্ন ধরনের লোকাল বিজনেস রয়েছে। আপনি কোন দিক থেকে ভিন্ন সেই বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। কাস্টমারের চাহিদা বুঝে তাদের বিভিন্ন স্পেশাল অফার দিন এবং তা প্রেজেন্টেশনে তুলে ধরুন।
২৮। বিভিন্ন ধরণের ছবি ব্যবহার করুনঃ
স্লাইডে শুধু টেক্সট যেন না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।বিভিন্ন ধরণের প্রাসঙ্গিক ছবি,স্লাইড ডিজাইন,সহজে পড়া যায় এমন টেক্সট ফন্ট ব্যবহার করবেন।
২৯। স্বল্প সংখ্যক লোকাল বিজনেস স্লাইড ব্যবহার করে থাকেঃ
কম সংখ্যক লোকাল বিজনেসে স্লাইড শেয়ার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আপনি আপনার বিজনেসের জন্য স্লাইড শেয়ার ব্যবহার করলে আপনার বিজনেসের ক্ষেত্রে এটি সুবিধাজনক হবে।
  • রিভিউ সাইটস 

রিভিউ সাইটস
  •  রেস্টুরেন্ট বিজনেসের জন্য YELP গুরুত্বপূর্ণ
  •  সার্ভিস বিজনেসের জন্য KUDZU
  •  ট্র্যাভেল বিজনেসের জন্য TripAdvisor অত্যাবশ্যক
  •  রিভিউ সাইট নতুন কাস্টমারের উৎস
  •  ক্লাইন্টসদের রিভিউয়ের ক্ষেত্রে ছবি ব্যবহার করতে বলা
  •  রিভিউ কনটেন্টের দিকে নজর দেওয়া
  •  মেনু, ছবি এবং ডিটেইলস এড করা
৩০। রেস্টুরেন্ট বিজনেসের জন্য YELP গুরুত্বপূর্ণঃ
আপনি যদি রেস্টুরেন্টের মালিক হয়ে থাকেন লোকজন Yelp এ রিভিউ দিবে। রেস্টুরেন্ট বিজনেসের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটা রিভিউ সাইট। যেকোন শহরে খাবার খুঁজে পাওয়ার একটি প্রধান উৎস হলো রেস্টুরেন্ট। বিশেষ করে যদি টুরিস্ট এরিয়ার কোন রেস্টুরেন্ট হয়ে থাকে। Yelp আপনার লোকেসন, টেলিফোন নাম্বার, আওয়ার, ম্যাপ, খাবারের মেনু, ছবি, রিভিউ ইত্যাদির লিস্ট করে থাকে।
৩১। সার্ভিস বিজনেসের জন্য KUDZU 
সার্ভিস রিলেটেড বিজনেসের  জন্য  KUDZU গুরুত্বপূর্ণ।যেমনঃ- অটোমোবাইল, হেলথ, ব্যবসায়িক, আবাসন নির্মাণ।এখানে রিভিউ ছাড়াও বিজনেসের বিস্তারিত বর্ণনা থাকে এবং আপনি তা ফ্রি তেই করতে পারেন।
৩২। ভেল বিজনেসের জন্য TripAdvisor অত্যাবশ্যকঃ
বর্তমানে ভ্রমনকারীরা যেকোন জায়গা / দেশ  ভ্রমনের পরিকল্পনা করলে প্রথমেই এই রিভিউ সাইটটি দেখে নেয়। ছবির মাধ্যমে রিভিউয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা তুলে ধরা হয়।
৩৩। রিভিউ সাইট নতুন কাস্টমারের উৎসঃ
নেগেটিভ বা ফেইক রিভিউ নিয়ে চিন্তা করবেন না। রিভিউ সাইটগুলো নতুন কাস্টমারদের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে। এতে আপনার বিজনেসও পরিচিতি লাভ করবে। তাই কখন কাস্টমারেরা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে সেই অপেক্ষা না করে আপনি সেই রিভিউ সাইট গুলোতে যান এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিন।
৩৪। ক্লাইন্টসদের রিভিউয়ের ক্ষেত্রে ছবি ব্যবহার করতে বলাঃ
রিভিউয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর উপায় হচ্ছে রিভিউয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক ছবি দেওয়া । ছবির মাধ্যমে আপনার বিস্তারিত একটা বর্ণনা পাওয়া যায় এবং রিভিউকারী আসলেই লোকেশন ভিজিট করেছে তারও প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই আপনার কাস্টমারদের ছবিসহ রিভিউ দিতে উৎসাহিত করুন।
৩৫। রিভিউ কনটেন্টের দিকে নজর দেওয়াঃ
আপনার বিজনেস রিভিউ গুলো পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। শুধু আপনার নয়, আপনার কম্পিটিটর যারা রয়েছে তাদের রিভিউ গুলো ও পড়বেন। তাদের দুর্বলতা বোঝার চেষ্টা করবেন। কাস্টামদের ভিন্ন কিছু অফার করবেন যা অন্যরা করছে না।
৩৬। মেনু, ছবি এবং ডিটেইলস এড করাঃ
যখন কাস্টমারেরা আপনার রিভিউ সাইট লিস্টিং দেখবে তখন তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিন। পণ্যের বর্ণনা, ছবি, লোকেশন, অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য কাস্টমারদের দিন।
  • ইন্সট্রাগাম 

ইন্সট্রাগাম
  •  লোকাল ইন্সট্রাগামারদের ফলো করা
  •  বিভিন্ন ধরণের ছবির ব্যবহার
  •  বিহাইন্ড দ্যা সিন ছবি দেখানো
  •  বিফোর/আফটার ট্রান্সফরমেশন ছবির ব্যবহার
  •  প্রোডাক্টসের ছবি এবং ব্যবহারের নির্দেশনা
  •  ছবির লোকেশন দেওয়া
  •  লোকাল হ্যাশটেগ ব্যবহার করা
  • সিটি,বিজনেসের ধরণ,জিআইপি কোডের ব্যবহার
৩৮। লোকাল ইন্সট্রাগামারদের ফলো করাঃ
আপনার এরিয়ায় ইন্সট্রাগাম প্রভাবকারী যারা রয়েছে তাদের ফলো করুন। ইন্সট্রাগাম ব্যবহারকারীদের ও খুঁজে বের করুন এবং তাদের ফলো করুন।
৩৯। বিভিন্ন ধরণের ছবির ব্যবহারঃ
একই ধরণের ছবি ব্যবহার না করে বিভিন্ন ধরণের ছবির ব্যবহার করবেন। স্টাফদের ছবি, নতুন পণ্যের ছবি, বিভিন্ন ধরণের উৎসাহমূলক উদ্ধৃতি, বিভিন্ন ধরণের ইভেন্টস, বিফোর-আফটার ট্রান্সফরমেশন ছবি ব্যবহারের মাধ্যমে ইমেজ ফিডে নতুনত্ব তৈরি করবেন।
৪০। বিহাইন্ড দ্যা সিন ছবি দেখানোঃ
এমন জায়গার ছবি দেখতে কাস্টমারেরা বেশী আগ্রহী যেখানে তারা যেতে পারেনা। আপনার কিচেন, বডি শপ, স্টক রুমের ছবি কাস্টমারদের সাথে শেয়ার করুন।
৪১। বিফোর/আফটার ট্রান্সফরমেশন ছবির ব্যবহারঃ
আপনার ব্র্যান্ডের কিরূপ প্রভাব রয়েছে সেটি সবাইকে দেখান। আপনার ক্লাইন্টসদের সাথে বিফোর-আফটার ট্রান্সফরমেশন ছবি শেয়ার করুন। হেয়ার সেলুন, অটো বডি শপ অথবা এমন কোন ব্র্যন্ডের ক্ষেত্রে যেগুলোর ভিজুয়াল ইমফ্যাক্ট রয়েছে।
৪২। প্রোডাক্টসের ছবি এবং ব্যবহারের দিক নির্দেশনাঃ
আপনার প্রোডাক্টসের ছবি দিন এবং সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিন।
৪৩। ছবির লোকেশন দেওয়াঃ
আপনার ছবির সাথে লোকেশন যোগ করবেন। এতে আপনাকে সহজেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।
৪৪। লোকাল হ্যাশটেগ ব্যবহার করাঃ
হ্যাশটেগের মাধ্যমে ইন্সট্রাগামে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। তাই আপনার এলাকার হ্যাশটেগ ব্যবহার করুন।
৪৫। সিটি, বিজনেসের ধরণ, জিআইপি কোডের ব্যবহারঃ
আপনার বিজনেস সম্পর্কে এক নজরে ধারণা করে নেওয়া যায় এমন সব তথ্য অন্তর্ভুক্ত করুন। সিটির নাম, বিজনেসের ধরণ, লোকেশন, জি আই পি কোড প্রভৃতি বিষয় ব্যবহার করুন।
  • মোবাইল মার্কেটিং 

   মোবাইল মার্কেটিং
  •  লোকাল বিজনেসের জন্য মোবাইল ওয়েবসাইট সহায়ক
  •  ওয়েবসাইটকে রেসপন্সিভ করুন
  • মোবাইল রিডিং সহায়ক ইমেইল তৈরি করুন
  •  আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ও ট্যাবে দেখুন
  • বড় ফন্ট ব্যবহার করুন
  •  এক কলাম লেআউট তৈরি করুন
  •  ৪৪ শতাংশ traffic মোবাইল ভিজিটর হতে আসে
৪৬। লোকাল বিজনেসের জন্য মোবাইল ওয়েবসাইট সহায়কঃ
আপনার ওয়েবসাইটটি যদি মোবাইল ভার্সন হয় তবে এটি আপনাকে অধিক মানুষের সাথে সংযুক্ত করবে।
৪৭। ওয়েবসাইটকে রেসপন্সিভ করুনঃ
আপনার ওয়েব ডেভেলপারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি সহজভাবে মোবাইলে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলুন।
৪৮। মোবাইল রিডিং সহায়ক ইমেইল তৈরি করুনঃ
মোবাইলে সহজে পড়া যায় এমন ইমেইল তৈরি করুন।
৪৯। আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ও ট্যাবে দেখুনঃ
আপনি নিজেই মোবাইল বা ট্যাব হতে আপনার ওয়েবসাইটটি দেখুন। আপনার স্টাফ ও বন্ধুদের ও দেখতে বলুন বিভিন্ন মোবাইল ও ব্রাউজার থেকে। বুজতে চেষ্টা করুন মোবাইলে সহজভাবে দেখার উপযোগী কিনা।
৫০। বড় ফন্ট ব্যবহার করুনঃ
বড় ফন্টের টেক্সট ব্যবহার করুন যেন ছোট স্ক্রিনের মোবাইলেও দেখতে অসুবিধে না হয়।
৫১।এক কলাম লেআউট তৈরি করুনঃ
স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, এক কলামের লে আউট স্কিনিং এবং পড়া দুই ক্ষেত্রেই সুবিধাজনক। তাই এক কলাম লে আউট তৈরি করুন।
৫২। ৪৪ শতাংশ traffic মোবাইল ভিজিটর হতে আসেঃ
আপনার ওয়েবসাইট traffic এর একটা গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে মোবাইল ভিজিটরস। লোকাল বিজনেসে এটি ৪৪ শতাংশের বেশী ও হতে পারে। দেখুন যে আপনার ব্র্যান্ডের কত traffic হচ্ছে মোবাইল ভিজিটর দ্বারা।
আপনি কোন পদ্ধতি অবলম্বন করছেন আপনার বিজনেসের জন্য …….অনলাইন ? আপনার গ্রাহকরা কি এটি পেতে পারে ? লোকাল বিজনেস গুলো প্রিন্ট মিডিয়া , রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদির বিজ্ঞাপনের জন্য অনলাইন মার্কেটিং এ বড় ধরনের বাজেট করছে। আপনার  আছে তো ? আপনার স্টাফ মেম্বারদের চিহ্নিত করুন যে সোশাল মিডিয়া পছন্দ করে এবং আপনার ব্র্যান্ডকে ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারে। আপনার অনলাইন মার্কেটিংতৈরি বা উন্নত করতে তাদের সুযোগ দিন। তাদের কে ইনফোগ্রাফিক তালিকা করতে দিন একটি কৌশল হিসাবে , এবং কয়েকজনের সাথে পরীক্ষা করে দেখুন যে কোনটি সবচেয়ে বেশী ট্র্যাফিক তৈরি করে – অনলাইন ও সাধারণ বিজনেস উভয়ের মধ্যে।( Collection BD )

Comments